কলকাতা -নিজস্ব প্রতিনিধি -মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল,পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান হসপিটাল, খুবই গর্বিত প্রথমবার কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে আজ বেসিক লাইফ সাপোর্ট (BLS) সেশন আয়োজন করে। পুরো সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল ভারতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে। ভারতে প্রতি দুই জন হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে একজন উপসর্গ ধরা পড়ার পর হাসপাতালে প্রায় ৪০০ মিনিট পরে পৌঁছন। এর ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেই গুরুত্বপূর্ণ সময় থাকে, অর্থাৎ তিরিশ মিনিট,তা প্রায় তেরো গুণ দেরি হয় বা নষ্ট হয়। মেডিক্যাল প্রফেসনালরা বলেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ১৮ মিনিটের বেশি মেডিক্যাল ইন্টারভেনশন এর অভাবে কোন মানুষের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে অপর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য। এখানেই বিএলএস ট্রেনিংয়ের গুরুত্ব যা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে। এই মডিউল শেখায় মানুষকে কিভাবে জীবন বাঁচানো ক্রিটিক্যাল জীবন বাঁচানোর টেকনিক আয়ত্ত করতে হবে যেমন কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিয়েশন (সিপিআর) যা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজনীয় এবং রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হবে। যদিও এই বিএলএস (BLS) ট্রেনিং কোন প্যারামেডিক বা ডাক্তারের বিকল্প হতে পারে না, তবুও কোন মানুষের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাওয়া থেকে আটকানোর ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা নিতে পারে। আজ দুটি সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল বেসিক লাইফ সাপোর্টের। দুটি সেশনে যোগদান করেন কুড়ি জন প্রতিযোগী, যেখানে ভারতীয় জাদুঘরের স্টাফ এবং অন্যান্য সদস্যরা যোগদান করেন। এই বিএলএস (BLS) সেশনের লক্ষ্য হল মানুষের মধ্যে আপৎকালীনপরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানোর দক্ষতা গড়ে তোলা। এই ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মেনে নেওয়া হয় আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) দ্বারা তৈরী স্ট্যান্ডার্ডকে। এই পুরো বিষয়টিতে নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ ইন্দ্রনীল দাস, বিভাগীয় প্রধান, ইমারজেন্সি, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, যিনি নিজের আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটরশিপ লিডারশিপ প্রোগ্রামের (IVLP) প্রাক্তনী।
এই বিএলএস (BLS) ট্রেনিং এর গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে ডঃ ইন্দ্রনীল দাস বলেন,”নিজেদের কর্মচারীদের বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএস) ট্রেনিং শুধুমাত্র যে জীবন বাঁচায় এমন নয়, তার সাথে সংস্থার মধ্যে একটি সংস্কৃতি চালু করে যেখানে সুরক্ষা ও প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। কোন মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির সময় একজন প্রশিক্ষিত মানুষ জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে ফারাক করে দিতে পারে। অফিস হোক বা বাড়ি, কোন জায়গায়, কোন মানুষকে কিভাবে ইমারজেন্সি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কি করতে হবে, সেই নিয়ে সম্যক ধারণা দেবে।আর উদয়ন লাহিড়ী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেডিকা গ্রুপঅফহসপিটাল, জানান,” ভারতের মত দেশে দেরিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের কারণে অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে যে কাঙ্খিত নয়, তাই হয়। বিশেষ করে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫০% এর ক্ষেত্রে হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হয়ে থাকে। সময়ের মধ্যে বা দ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই ফারাক করে দিতে পারে, বিশেষ করে হৃদরোগ অ্যাক্সিডেন্টের মত ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে।