এই মুহূর্তে বিনোদন

রুটি আর গোলাপ আয়োজিত “ভোরাই উৎসব ‘২৪”

কলকাতা -নিজস্ব প্রতিনিধি -শিল্প সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে হাওড়া সালকিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো দুদিন ব্যাপি “ভোরাই উৎসব”। রুটি আর গোলাপ আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক উৎসবে ছিল আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক, সেমিনার, অন্তরঙ্গ নাটকের অনুষ্ঠান এবং শ্রুতি নাটকের প্রতিযোগিতা।সালকিয়া শিল্পাশ্রম স্কুলে অনুষ্ঠিত এই উৎসব উদ্বোধন করেন সমাজকর্মী, বাচিক শিল্পী শ্রীমতী মহাশ্বেতা মুখার্জী। এছাড়াও উৎসবের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রী বিভাস চক্রবর্তী। অভিনেতা, পরিচালক শ্রী শুভাশিস ব্যানার্জী। পরিচালক, অভিনেতা শ্রী দেবাশিস রায়। নাট্যকার, শ্রী মৈনাক সেনগুপ্ত। অভিনেত্রী শ্রীমতী সুপর্ণা ব্যানার্জী। অভিনেতা তরুণ দত্ত রায়। অভিনেতা সৌমিত্র তলাপাত্র। প্রাবন্ধিক, কণ্ঠ শিল্পী ডক্টর বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
উৎসবের প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে রুটি আর গোলাপের শিক্ষার্থীবৃন্দ পরিবেশন করেন আবৃত্তি, গল্পাভিনয়, আবৃত্তি আলেখ্য ও দুটি শ্রুতি নাটক। এছাড়াও শ্রুতি নাটক পরিবেশন করেন বি গার্ডেন প্রত্যাশা।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শিল্পাশ্রম স্কুলের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শ্রুতি নাটক প্রতিযোগিতা। প্রকাশ্য এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন দল অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিটি দলের সর্বাধিক ১৫ মিনিট সময়সীমার এই শ্রুতি নাটক প্রতিযোগিতা ছিল দর্শক শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত।
এদিন বিকেল ৫ টায় ছিল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্বর্ধনা। এবং শ্রুতি নাটক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার প্রদান। এখানে এদিন রুটি আর গোলাপের নিবেদনে পরিবেশিত হয় যুদ্ধ বিরোধী আবৃত্তি আলেখ্য “রক্তাক্ত পারাবত”। এরপরেই পরিবেশিত হয় পাঁচটি অন্তরঙ্গ নাটক। বিশেষভাবে সক্ষম দের অভিনয়ে “লাভ অ্যান্ড কেয়ার” পরিবেশন করে ললিতা দেব নাগের তত্বাবধানে রবীন্দ্রনাথের বীরপুরুষ। এরপরেই পরিবেশিত হয় থিয়েটার পুষ্পক প্রযোজিত “গল্প দেখা গল্প শোনা” নাটকটি। পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী নাট্যশিল্পী আলোকপর্ণা গুহ। এখানেই “রুটি আর গোলাপ” এর প্রাপ্ত মনস্কদের নাটক “আর নহি সামান্যা নারী” পরিবেশিত হয়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের অধ্যাপক ড. শুভাশিস বসু নির্মাণ করেছেন এই কাব্য নাটকটি। পরে তপন দাসের নির্মাণে খড়দা থিয়েটার জোন পরিবেশন করে “ফ্রিডম” নাটকটি।
“ভোরাই” উৎসবের পঞ্চম ও শেষ নাটক ছিল কোটনিস মাস থিয়েটার প্রযোজিত রক্তকরবীর দৃশ্যাংশ। বেদান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মাণ করেছেন নাটকটি।
“ভোরাই উৎসব ‘২৪” এর সামগ্রিক ভাবনা ও রূপায়ণ করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের অধ্যাপক ড. শুভাশিস বসু। দুদিনের এই উৎসবে গোটা পরিবেশ পরিমণ্ডল সহ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা এলাকার সংস্কৃতি প্রেমীদের মন ভরিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *