মসলন্দপুর-ইন্দ্রজিৎ আইচ রিপোর্ট –
মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার এর আয়োজনে সাড়ম্বরে অনুষ্টিত হল “ইমন নাট্যমেলা-২০২৪”। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় সম্প্রতি তিনদিন ধরে সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত পদাতিক মঞ্চে আয়োজিত এই নাট্যমেলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের এবং বাংলাদেশের নানান নাট্য দলের নাটক ও মূকাভিনয় এর পাশাপাশি মঞ্চস্থ হল নৃত্যনাট্য, সঙ্গীত, নৃত্য, আড়বাঁশি। এছাড়াও এই তিনদিন সকাল থেকে ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। নাট্যমেলার প্রথম দিন সকালে ছিল অঙ্কন প্রতিযোগিতা। তিনটি বিভাগে ১১৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন এই আয়োজনে। বিকেলে পদাতিক মঞ্চের অঙ্গনে পরিবেশিত হয় কৃষ্ণনগর চেনা আধুলি নাট্য দলের রজত দাস নির্দেশিত নাটক “বাঘা রে”। সন্ধ্যায় হয় অতিথি সংবর্ধনা ও রাসমোহন দত্ত স্মৃতি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান। তারপর একে একে মঞ্চস্থ হয় ছন্দাবলী ও নৃত্যালোক নৃত্য গোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠান। মঞ্চস্থ হয় স্বাগত পাল নির্দেশিত কোচবিহার ছায়ানীড়-এর মূকাভিনয়, ভাস্কর দাস নির্দেশিত হরিপাল আশ্রমিক-এর নাটক “থাপ্পড়” এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নির্দেশিত দত্তপুকুর স্পার্টাকাস নাট্য সংস্থার নাটক “রাশিয়ার মা”। নাট্যমেলার দ্বিতীয় দিন সকালে ছিল নৃত্য ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় অনিমা দাস পরিচালিত মুকুলিকা গানের স্কুলের গানের অনুষ্ঠান, জয়ন্ত সাহা নির্দেশিত হাবরা অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংস্থা ও কমল মন্ডল নির্দেশিত হাবড়া শতকমল মাইম সোসাইটির মূকাভিনয়, মল্লার নৃত্য গোষ্ঠী ও পূজা ডান্স একাডেমীর নৃত্য। এরপর মঞ্চস্থ হয় মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের জীবন অধিকারী নির্দেশিত নাটক “যুযুধান” এবং আতিকুর রহমান সুজন নির্দেশিত ও অভিনীত বাংলাদেশের কুমিল্লা গার্ডেন থিয়েটারের নাটক “গল্পকথা”। ইমন নাট্যমেলার শেষ দিন ছিল আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এদিন সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিল এই কদিন মনীষা সাংস্কৃতিক সংস্থার বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান, সোমা রক্ষিত এর আড়বাঁশি, নটরাজ নৃত্য সংস্থার নৃত্য, গোবরডাঙা নিঃশব্দ থিয়েটারের ধনপতি মন্ডল নির্দেশিত ও অভিনীত মূকাভিনয় “গুপ্তধন”, আসাম নির্বাক এর মিনাঙ্ক ডেকা নির্দেশিত মূকাভিনয়, জীবন অধিকারী নির্দেশিত গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম এর নাটক “দর্পণ”। এবছরের নাট্যমেলার সর্বশেষ নিবেদন হিসেবে মঞ্চস্থ হয় সৃজা হাওলাদার নির্দেশিত ইমনের ৫০জন ছোট্ট বন্ধুদের এবছরের নতুন প্রযোজনা নৃত্যনাট্য “হিংসুটে দৈত্য”। নাট্যমেলার তিনটি দিনই দর্শকগণ পদাতিক মঞ্চের দর্শকাসন পূর্ণ করে সম্পূর্ন অনুষ্ঠানগুলি উপভোগ করেন।