এই মুহূর্তে রাজ্য

Rupantar Social Welfare Society celebrates Mother Language Day

কলকাতা – পিনাকী চৌধুরী-বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে রূপান্তর স্যোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এমন একটি সংগঠন, যাঁরা কিনা সম্পূর্ণ মহিলাবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত। ২০০৬ সালে পথ চলা শুরু। তারপর অনেক চড়াই উতরাই, ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আজও নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে মহিলাদের স্বনির্ভর করবার লক্ষ্যে। সম্প্রতি তাঁরা তাঁদের ১৯ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান এবং সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সংস্থার কর্ণধার তথা সম্পাদিকা অমৃতা চ্যাটার্জী বলেন ” আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং স্বনির্ভরতা। আমরা সেই অর্থে কোনও অনুদান পাই না। তবুও আমরা নিজ লক্ষ্যে অবিচল।” ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অমৃতা চ্যাটার্জী এবং সদস্যবৃন্দ। কলকাতার মধ্যে একমাত্র এই সোসাইটি স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজ সংগঠিত করে। যেমন – ভেষজ আবির, ধূপ কাঠি তৈরি অ্যালোভেরা পাউডার ইত্যাদি। অমৃতা চ্যাটার্জী জানান যে, পরিবেশ দূষণ থেকে যাতে রক্ষা পাওয়া যায়, তার জন্য তাঁরা প্রচার করেন । উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন চৈতালী চক্রবর্তী। পরে অন্বেষা সাহার কন্ঠে ‘ আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে ‘ সঙ্গীত পরিবেশন ভাল লাগে। বর্ষীয়ান সাহিত্যিক অশীতিপর পিনাকী শঙ্কর চৌধুরী বর্তমানে ভারতে বাংলা ভাষার কী অবস্থা, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন। এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চাহিদা পূরণের জন্য একটি শববাহী যানের প্রস্তাব পাঠ করেন রেশমী ব্যানার্জি। বাচিকশিল্পী সুতপা চক্রবর্তীর কন্ঠে ‘ কোন মুখে দাঁড়াবো ‘ কবিতাটি শুনতে বেশ ভালো লাগে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিহার ভক্ত, শঙ্কর দাস, কবি বিশ্বনাথ চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অজয় সাহা । সমগ্র অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবসের উৎকর্ষতা এবং মাধুর্য বৃদ্ধি পায়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *