কলকাতা -সৃঞ্চিণী পোদ্দার রিপোর্ট -একজন শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর গুরুশিষ্য সুলভ সম্পর্ক হয়ে থাকে।শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকা থাকে অপরিসীম । সেই সম্পর্ক কে কি ভাবে নিবিড় করা যায়। শিক্ষার সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষকের ভূমিকা ঠিক কেমন হওয়া উচিৎ সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে র আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলির মতো এই বছরেও JIS গ্রুপের অন্তর্গত নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের পরিচালনায় কলেজের অডিটোরিয়াম হলে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পেশাগত ব্যবস্থার বাইরে পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বাস্তবিক জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধির মাত্রা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মূলত এই দিনের এই সন্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বইও ক্লাসরুম, রুটিং,শাসন। এই সবগুলোর সাথে বড় হয়ে ওঠে একজন ছাত্র। একটা নিয়মের বেড়াজালে শেষ করতে হয় পড়ার সিলেবাস । কিন্তু অনেক নিয়মের মাঝে হারিয়ে যায় পড়ুয়ার স্বাধীনতা । পড়ুয়ার মানসিক বিকাশ প্রতিভা সেগুলো চাপা পড়ে যায়। শিক্ষা দানের সাথে সাথে শিক্ষকের ভূমিকা ছাত্রের বিকাশের পথের নির্দেশক হওয়ার। এদিন এই বিষয়ে আরো অনেক পরামর্শ দেন উপস্থিত অতিথিরা। প্রথাগত নিয়মের বাইরে বেরিয়ে একজন ছাত্রকে কিভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গড়ে তোলা যায়। কিভাবে একজন ছাত্র নিজের জীবনের বাস্তবিক দিক শনাক্ত করতে নিজেই সক্ষম হয় সেই সমস্ত বিষয়ে শিক্ষকের ঠিক কি ভাবে ভূমিকা পালন করা উচিত এই সমস্ত একাধিক বিষয় নিয়ে এই দিন এই বিশেষ সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় এই অনুষ্ঠানটির,এর পাশাপাশি উপস্থিত অতিথিদের সম্বর্ধনা পর্ব শেষ হলে সচেতনতা মূলক এই আলোচনা সভা শুরু হয়। রাজ্যের প্রায় ৯৫ টি বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে সম্পন্ন হয় এই সন্মেলনটি। এই দিনের এই সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে সামিল হয়েছিলেন WBJEE বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মলয়েন্দু সাহা, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক রামানুজ গাঙ্গুলি, মানসিক দৃঢ়তা প্রশিক্ষক মৃণাল চক্রবর্তী,বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের শিল্পমন্দিরের বিশিষ্ট প্রতিনিধি স্বামী বেদাতিতানন্দ, JIS গ্রুপের ডিরেক্টর সর্দার সিম্পারপ্রীত সিং সহ বহু বিশিষ্ট গুণী ব্যক্তিত্বরা।